বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় গোল্ড মেডেল প্রাপ্তিকে অনেক বড় অর্জন হিসেবে ধরা হয়। আর সেটি যদি হয় বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন মেডেল, তাহলে তো কথা–ই নেই। ব্যক্তিগত ক্যারিয়ারে স্মরণীয় এমন মেডেল খেলোয়াড়রা কোনোভাবেই হারাতে চাইবেন না নিশ্চয়ই। তবে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার তার বিশ্বকাপ মেডেল বিক্রি করা হবে বলে হুমকি পেয়েছেন। তাও সেটি তার সাবেক স্ত্রীর কাছ থেকেই!
এদিকে প্রায় সাড়ে তিন দশক পর ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছে আর্জেন্টিনা। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলটির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন ইজাকুয়েল প্যালাসিওস। যার সঙ্গে স্ত্রী জেসিকা ফ্রিয়াস বিবাহ বিচ্ছেদ চাচ্ছেন বলে গণমাধ্যমের খবর।
তবে অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে উল্লেখ করায় ক্ষেপে আছেন প্যালাসিওস, সে কারণে তিনি বিচ্ছেদপত্রে স্বাক্ষর না করার পাশাপাশি ভাড়া ফ্ল্যাটের দাম পরিশোধেও অনাগ্রহ জানিয়েছেন। সেই কারণেই সাবেক স্ত্রী জেসিকা তার বিশ্বকাপ মেডেল ও ফাইনালের জার্সি বিক্রির হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
তবে আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টসকে দেওয়া মন্তব্যে মূল মেডেল বিক্রি করেননি বলে জানিয়েছেন জেসিকা। তিনি বলেন, ‘আমি কখনোই বলিনি যে তার (প্যালাসিওস) জিনিস নিলামে তুলব, তার জিনিস তার কাছেই আছে। সে আমাকে যা দিয়েছিল সেগুলো আমার জিনিস। আমাকে তার ফাইনাল জার্সিটি দিয়েছিল, যেটি কাল বিক্রি করে দিয়েছি। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর জার্সিটি আমার প্রতি উৎসর্গ করে বলেছিল ‘‘আমার জীবনের একমাত্র ভালোবাসার জন্য।’’
এরপর জেসিকা জার্সি বিক্রির কারণও জানান, ‘আমি আমার অ্যাপার্টমেন্টের ভাড়া পরিশোধ করতে চেয়েছি এবং বকেয়া রেখে আমি কোনো স্মরণীয় জিনিস রাখতে চাইনি, তাই বিক্রি করে দিয়েছি। আমি মনে করি যা বর্তমানে আমার জিনিস, তা বিক্রিতে খারাপ কিছু নেই।’
এদিকে প্যালাসিওসের সঙ্গে জেসিকার ঝামেলা শুরু হয় কাতার বিশ্বকাপের পর। অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ করে ডিভোর্স চান স্ত্রী জেসিকা। কিন্তু তাতে আর্জেন্টাইন ফুটবলার রাজী হননি। আর তাতেই ক্ষেপে যান তার মডেল স্ত্রী। বিয়ের পর আর্জেন্টিনা বুয়েন্স আয়ার্সের উত্তরে একটি শহর টাইগ্রেতে কিস্তিতে একটি অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছিলেন প্যালাসিওস। কিন্তু ঝামেলার পর কিস্তি পরিশোধ বন্ধ করেন দেন তিনি। এই কারণেই বিশ্বকাপের স্মৃতিচিহ্ন বিক্রির পথে হাঁটেন প্যালাসিওসের স্ত্রী। এর আগে ২০১৮ সালে প্রথম পরিচয়ের পর ২০২১ সালে প্যালাসিওস–জেসিকা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন।
এদিকে, প্যালাসিওসের মূল বিশ্বকাপ মেডেল বিক্রি করেননি বলে জানিয়েছেন জেসিকা, ‘আমি তোমার মেডেল পেয়েছি, কিন্তু কীভাবে সেই মেডেলটি বিক্রি করে দেব? সে আমাকে মেডেলে একটি রেপ্লিকা (মেডেলের অনুরূপ কপি) দিয়েছিল। আমি কখনোই চ্যাম্পিয়ন মেডেল বিক্রি করব না, তবে আমি এমন জিনিস বিক্রি করতে পারি যা প্যালাসিওস আমাকে দিয়েছে এবং সেটি বর্তমানে আমার মালিকানাধীন হয়ে গেছে।’
অন্যদিকে, আর্জেন্টিনার আরেকটি টেলিভিশন চ্যানেল ‘এল ট্রেস’র দাবি– প্যালাসিওস বিচ্ছেদে রাজি না হলে জেসিকা আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের গোপনীয়তা প্রকাশ করে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি চাই সে বিবাহবিচ্ছেদে স্বাক্ষর করুক। আমি তার কাছে শুধু আমার যা আছে তা চাই, শুধু জার্মানিতে থাকা বৈবাহিক সম্পদ নয়। আমি চুপ থাকা তার জন্য সুবিধাজনক। জাতীয় দল সম্পর্কে আমার কিছু জানা আছে যা আমি বলিনি। সে এই অ্যাপার্টমেন্টের জন্য অর্থ দিতে চায় না, কারণ সে জানেনা (ডিভোর্সের পর) এটি তার হবে কি-না ‘